লালমনিরহাট জেলার পটভূমি

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় লালমনিরহাট জেলার পটভূমি । 

লালমনিরহাট জেলার পটভূমি:-

 

লালমনিরহাট জেলার পটভূমি
তিস্তা রেল সেতু – লালমনিরহাট জেলা

 

১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা (মন্ত্রী) ডঃ শাফিয়া খাতুন কর্তৃক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাট মহকুমা ‘জেলা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পরে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ মার্চ লালমনিরহাট সদর থানা ‘উপজেলা’ হিসেবে ঘোষিত হয়। ফলে লালমনিরহাট জেলার অধীনে উপজেলার সংখ্যা দাড়ায় – ৫টি; পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী এবং লালমনিরহাট সদর।

এসময় লালমনিরহাট সদর থানার ছিনাই, রাজারহাট এবং ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার সাথে যুক্ত হলে নবগঠিত লালমনিরহাট জেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা দাড়ায় ৪১টি এবং পৌরসভার সংখ্যা ১টি। তাছাড়া লালমনিরহাট সদর উপজেলার আয়তন দাড়ায় ১০৪ বর্গমাইল।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন হিসেবে পরিগণিত হয় এবং ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্ট এখানে ইউনিয়ন পরিষদের শুভ উদ্বোধন ঘটে, ফলে লালমনিরহাট জেলায় ইউনিয়ন সংখ্যা দাড়ায় ৪২টি। বর্তমানে লালমনিরহাট জেলায় পৌরসভা ২টি, উপজেলা ৫টি ও ইউনিয়ন ৪৫টি।

ডায়াবেটিক সমিতি, লালমনিরহাট এর সাবেক কার্যালয়ের স্থলে ছিল জেলা প্রশাসকের প্রথম কার্যালয়। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয় স্থানান্তরিত হয় বর্তমান মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজের স্থলে। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবার তা স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান স্থানে চলে আসে।

১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি বিদ্যমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তথা কালেক্টরেট ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লে. জে. এইচ. এম. এরশাদ।

 

লালমনিরহাট জেলার পটভূমি
তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি – লালমনিরহাট জেলা

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment