লালমনিরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় লালমনিরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।

লালমনিরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত:-

লালমনিরহাট জেলা তিস্তা নদী, তিনবিঘা কড়িডোর, বুড়িমারী স্থল বন্দর এবং লালপাথর এর জন্য বিখ্যাত। লালমনিরহাট জেলার কিছু বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান:

৬৯ হিজরীর হারানো মসজিদ

বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় ৬৯ হিজরি সনে নির্মিত একটি মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মসজিদটির কেবল ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে হারানো মসজিদ নামে পরিচিত। এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ বলে ধারণা করা হয়। এই মসজিদের নতুন নামকরণ করা হয়েছে সাহাবায়ে কেরাম মসজিদ।

 

লালমনিরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
তিনবিঘা করিডোর – লালমনিরহাট জেলা

 

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন

বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অন্যতম রেলওয়ে জংশন হলো লালমনিরহাট রেলওয়ে জংশন। যেটি লালমনিরহাট জেলায় রয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাজ্য রেলপথ ১৮৭৯ সালে পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া যাওয়ার জন্য একটি মিটার গেজ লাইন চালু করে। ইস্টার্ণ বেঙ্গল রেলওয়ে কাউনিয়া থেকে ধরলা নদী পর্যন্ত দুটি সরু গেজ লাইন স্থাপন করা করে। যার ফলে কাউনিয়া-ধরল্লা রাজ্য রেলপথ তৈরি হয়েছিল। ১৯০১ সালে কাউনিয়া-ধরলা রেলপথটিকে মিটারগেজে রূপান্তরিত করা হয়। কাউনিয়া-ধরলা লাইনটি ১৯০৮ সালে কাউনিয়া-ধরলা রেলপথটিকে সম্প্রসারণ করে আমিনগাঁও পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়।

তিস্তা ব্যারেজ

তিস্তা সেচ প্রকল্প হলো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে। এর কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯০ সালে। সেচ প্রকল্পটির পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

লালমনিরহাট বিমানবন্দর

লালমনিরহাট বিমানবন্দর বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের লালমনিরহাটে অবস্থিত একটি বিমানবন্দর। এটি লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৯৩১ সালে এ বিমান ঘাঁটি তৈরি করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি অব্যবহৃত হিসেবে জৌলুস হারাতে বসে। তবে পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালীন ১৯৫৮ সালে স্বল্পপরিসরে বিমান সার্ভিস চালু হলেও তা বেশিদিন আলোর মুখ দেখেনি।

তিনবিঘা করিডোর

তিনবিঘা করিডোর হল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে একটি স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন তিন বিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরাপোতা ছিটমহলে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেওয়া হয়। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত।

 

লালমনিরহাট জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি – লালমনিরহাট জেলা

 

তিস্তা রেল সেতু

তিনবিঘা করিডোর হল বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে একটি স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন তিন বিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরাপোতা ছিটমহলে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেওয়া হয়। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment