আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় লালমনিরহাট জেলার বৃহৎ প্রকল্প ।
লালমনিরহাট জেলার বৃহৎ প্রকল্প:-
লালমনিরহাট জেলার প্রকল্প সমূহ এর পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
আশ্রয়ণ প্রকল্প
মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগটি বাস্তবায়নের জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ ও ২ শতাংশ জমি প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম খরচে ১ম পর্যায়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে মাত্র ১,৭১,০০০/- টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাট জেলাতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয় । তদানুযায়ী ১ম পর্যায়ে নিম্নে উল্লেখিত উপজেলাওয়ারী গত ২০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও জমি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
১ম পর্যায় গৃহ নির্মাণ ও পূনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্নের পর একই উদ্যোগে ঘরের ডিজাইনের কিছুটা পরিবর্তন এনে ১,৯০,০০০/- টাকায় (প্রতিটি ঘরের বিপরীতে) ২য় পর্যায়ে গৃহ ও জমি প্রদানের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে এ জেলায় নিম্নলিখিত উপজেলাওয়ারী গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং গত ২০ জুন ২০২১ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও জমি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

১ম ও ২য় পর্যায় গৃহ নির্মাণ ও পূনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্নের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার লক্ষ্যে এক অদম্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তদানুয়ায়ী পুনরায় ঘরের মজমুদ ডিজাইন প্রস্তুত অন্তে ২,৫৯,৫০০/- টাকা (প্রতিটি ঘরের বিপরীতে) বরাদ্দ প্রদান করে ৩য় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করেন। তদানুযায়ী গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে এ জেলায় নিম্নলিখিত উপজেলাওয়ারী গৃহ নির্মাণ করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসন করা হয়েছে এবং গত ২৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও জমি প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
১ম, ২য়, ৩য় পর্যায় গৃহ নির্মাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পন্নের পর বৈশ্বিক অর্থনীতি বিবেচনা করে এবং ঘরে ডিজাইন সংশোধন অন্তে (গ্রেড ভীম সংযুক্ত করে) ৪র্থ পর্যায়ে গৃহনির্মাণের জন্য (প্রতিটি ঘরের বিপরীতে) ২,৮৪,৫০০/- টাকা হারে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তদানুযায়ী এ জেলায় নিম্নলিখিত উপজেলাওয়ারী গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলায় আর কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন পাওয়া না গেলে মাননীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্যবৃন্দ, মেয়রদ্বয়, উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাক্রমে আগামী ৩০ জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে লালমনিরহাট জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিস্তা সেচ প্রকল্প
তিস্তা সেচ প্রকল্প হলো বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পটি নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে। এর কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯০ সালে। সেচ প্রকল্পটির পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানি নামক স্হানে অবস্থান। রংপুর শহর থেকে এর দুরত্ব ৬১ কিলোমিটার। লালমনিরহাট শহর থেকে দুরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার।

উত্তরাঞ্চল খরাপিড়িত এলাকা হওয়ায় তৎকালিন ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৭ সালে তিস্তা ব্যারেজ নিমার্ণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে এর মুল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান আমলে। ১৯৫৭ সালে নির্মাণ কাজ শুরুর পরিকল্পনা থাকলে রাজনৈতিক অস্থিতিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৯ সালে ব্যারেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮৫ সালে সৌদি উন্নয়ন তহবিল ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং আবুধাবি উন্নয়ন তহবিলের প্রায় ২,৫০০কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা ব্যারেজসহ সেচ যোগ্য কৃষিজমি ও জলকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৯০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় এবং একই বছর ৫ আগস্ট এর কার্যক্রম চালু হয়। এর মোট নির্মাণ ব্যয়ছিল ১৫শ কোটি টাকা এবং ৫ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে। ২০১৬ সালে ২৬৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ূনঃ
